মাদক, জঙ্গিবাদ ও অপসংস্কৃতি ঠেকাতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সংস্কৃতি সুন্দর ও মননের শিক্ষা দেয়। এ জন্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাংস্কৃতিক চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে দেশের সংস্কৃতি আরও উজ্জ্বল হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্পকলা পদক-২০১৯ ও ২০২০ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে। এটি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এটি সংস্কৃতি বিকাশেও অবদান রাখবে।
সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ ও ২০২০ সালে ১৮ গুণীজন এবং দুই সংগঠনকে শিল্পকলা পদক দেওয়া হয়। এ জন্য শিল্পকলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুণীজনরা বিশেষ অবদান রেখে আসছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এভাবে চলে আসছে। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
২০১৯ সালে শিল্পকলা পদকপ্রাপ্তরা হলেন– নাট্যকলায় মাসুদ আলী খান, কণ্ঠসংগীতে হাসিনা মমতাজ, চারুকলায় আবদুল মান্নান, চলচ্চিত্রে অনুপম হায়াৎ, নৃত্যকলায় লুবনা মরিয়ম, লোকসংস্কৃতিতে শম্ভু আচার্য্য, যন্ত্রসংগীতে মো. মনিরুজ্জামান, ফটোগ্রাফিতে এম এ তাহের, আবৃত্তিতে হাসান আরিফ, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ছায়ানট।
২০২০ সালের পদকপ্রাপ্তরা হলেন– কণ্ঠসংগীতে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলায় শহিদ কবীর, যন্ত্রসংগীতে মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফিতে আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন, চলচ্চিত্রে শামীম আখতার, নাট্যকলায় মলয় ভৌমিক, আবৃত্তিতে ডালিয়া আহমেদ, লোকসংস্কৃতিতে শাহ আলম সরকার, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।
২০১৩ সাল থেকে শিল্পকলা পদক দিয়ে আসছে শিল্পকলা একাডেমি। করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পদক পিছিয়ে এ বছর দেওয়া হয়। কণ্ঠসংগীত, যন্ত্রসংগীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষণা এই ১০টি ক্ষেত্রে পদকটি দেওয়া হয়ে থাকে। মনোনীতদের একটি করে স্বর্ণপদক, সনদপত্র ও এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর।