হাঁসের ডিমের হালি ৬৪ টাকা, মুরগির ৫০

ফেনী প্রতিনিধি

ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে হাঁসের ডিম হালিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে হালিপ্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা। জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে খাদ্য, পরিবহন, শ্রমিকদের মজুরি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে ডিমের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা।

আজ শুক্রবার সোনাগাজী পৌর বাজার, ওলামা বাজার, বক্তারমুন্সি বাজার, কাজীরহাট, কুটির হাট ও মতিগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে পাইকারি পর্যায়ে মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩৪ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ডিম পাইকারি পর্যায়ে ৫০ ও খুচরা পর্যায়ে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকা হালির হাঁসের ডিম খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকায়।

সোনাগাজী পৌর শহরের ডিমের বাজারে ৮ থেকে ১০টি ডিমের আড়ত আছে। পাইকারি এ বাজারে শুক্রবার লেয়ার মুরগির প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ৪৮ টাকা দরে। অন্যদিকে শহরের মুদিদোকানগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫২ টাকা, সাদা ডিম ৫০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৬০ থেকে ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম বাড়লেও লাভ বাড়েনি বলে দাবি করেন খুচরা ও পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা। ডিম ব্যবসায়ী কানাই লাল দাস বলেন, মুরগির খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। আগে প্রতি হালি ডিমে দুই থেকে তিন টাকা লাভ হতো। লাভের পরিমাণ এখনো আগের মতোই আছে।

ডিমের আকস্মিক দাম বাড়ার ব্যাপারে সোনাগাজী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুর নবী বলেন, বাজারের প্রায় সব কটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্য অতিরিক্ত বাড়িয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

শেয়ার করুন