ইরানে বিক্ষোভ: সেনাবাহিনীর কঠোর হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কঠোর সতর্ক বার্তা দিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শত্রুদের মোকাবিলায় মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। হিজাব আইন ভঙ্গের জেরে গত সপ্তাহে নৈতিকতা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ২২ বছর বয়সী আমিনির মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে ঘিরে ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ হুঁশিয়ারি দিল দেশটির সেনাবাহিনী। পুলিশি হেফাজতে আমিনির মৃত্যুর তদন্ত অবশ্যই হবে বলে জানিয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

সেনাবাহিনী বলেছে, এ ধরনের মরিয়া কর্মকাণ্ড হচ্ছে ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করতে শত্রুদের শয়তানি কৌশলের অংশ। অন্যায়ভাবে আক্রমণের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিতে শত্রুদের বিভিন্ন চক্রান্ত মোকাবিলা করব আমরা।

এদিকে শুক্রবার সরকার সমর্থকরাও বিক্ষোভ করে। জুমার নামাজের পর সরকার সমর্থকদের এই বিক্ষোভকে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে জনশক্তির আওয়াজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

এদিকে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা তেহরান ও আরও কয়েকটি শহরে যানবাহন ও থানা পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলাও হয়েছে। ইরানি গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার ২৮০ দাঙ্গাকারীকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। আমিনির মৃত্যু নারীর পোশাক নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধসহ ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং নিষেধাজ্ঞায় ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানিদের ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে।

এদিকে সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিস্টিন আমানপোর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। রাইসি শর্ত দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় আমানপোরকে মাথায় হিজাব পরতে হবে। এতে আপত্তি জানিয়ে সাক্ষাৎকার বাতিল করেছেন এ সাংবাদিক। আমানপোর বলেছেন, অতীতে ইরানের বাইরে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সে দেশের কোনো প্রেসিডেন্টই এ ধরনের অনুরোধ কখনও করেননি। রাইসির ঘনিষ্ঠজনের একজন তাকে বলেছেন, ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এ শর্ত দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের নারী ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতন-সহিংসতার অভিযোগে জো বাইডেনের প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দিল।

শেয়ার করুন