উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নথিপত্র জাল করার অভিযোগে সিলেটে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিলেট নগরের বারুতখানা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম আবদুল্লাহ আল নোমান (৩৬)। তিনি সিলেট নগরে এডুকেশন কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। আবদুল্লাহ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে আজ সকালে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিজিওনাল সিকিউরিটি অফিসার মাইকেল লি বাদী হয়ে আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসে কয়েকজন শিক্ষার্থীর নথিপত্র জমা পড়ে। ওই নথিপত্রগুলোর সঙ্গে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ বিভিন্ন তথ্যের গরমিল পাওয়া যায়। সেগুলো তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। পরে নথিপত্র জমা দেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিলেটের এডুকেশন কেয়ার নামের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পান দূতাবাসের তদন্ত কর্মকর্তারা। পরে দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা মাইকেল লি ও ভেনেসাস গোমেজ সিলেটে এসে বিষয়টি তদন্ত করেন। এ সময় তারা বিষয়টি থানায় অবহিত করেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের তদন্তে জানা গেছে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বলে এডুকেশন কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করত। পরে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে নথিপত্র প্রস্তুত করতেন। পরে আজ সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা মাইকেল লি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় সিলেটের এডুকেশন কেয়ার ও এর পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমানকে অভিযুক্ত করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পর মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। পরে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।