সংবাদ সম্মেলন করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেওয়ার দুই ঘণ্টা পরেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ইডেন মহিলা কলেজ শাখা লীগের বহিষ্কৃত ১২ নেত্রী। আজ সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান তারা। সেখানে দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর অনশন থেকে সরে আসার কথা জানান নেত্রীরা।
জানা যায়, বেলা ১টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীরা। সে সময় সেখানে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীমের সঙ্গে কথা হয় বহিষ্কৃতদের। তারা নিজেদের দাবি ও অনশনের কথা জানালে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে আশ্বস্ত করেন শামীম। এরপরই অনশন থেকে সরে আসেন বহিষ্কৃত নেত্রীরা।
সেখান থেকে বের হওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, অনশনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তারা।
শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ১ নং সহ-সভাপতি সোনালী আক্তার বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমাদের কথা শুনেছেন। আমাদের স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন। তাই আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি।
চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও সিট বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়াকে কেন্দ্র করে সদ্য স্থগিত কমিটির শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার অনুসারীদের মারধর, হেনস্তার শিকার হন সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়। সম্মেলনের এক পর্যায়ে পাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। পরে কমিটি স্থগিত ঘোষণা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ১৬ জন নেত্রীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে একপাক্ষিক উল্লেখ করে আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বহিষ্কৃতরা।