ইরানে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় টানা ১০ দিনের এই বিক্ষভে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে বিভিন্ন সূত্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন এই তথ্য জানিয়েছে।
নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বলেছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে চলমান ইন্টারনেট সেবা সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়ায় প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আইএইচআর-এর প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তেহরানের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা রোববার রাতে স্বৈরশাসকের মৃত্যু বলে চিৎকার করছেন। দেশটিতে এই বিক্ষোভ দমাতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি অঙ্গীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চক্রান্তকারী এই বিক্ষোভ উসকে দিচ্ছে। এছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী বিক্ষোভ হটাতে হুঁশিয়ারি দেন।
হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহশা আমিনি। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। পরিবার ও বহু ইরানির দাবি, পুলিশের নির্যাতনে আমিনির মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আমিনির মৃত্যুর পরেই হাজার হাজার মানুষ ইরানজুড়ে বিক্ষোভে নামে। দেশটির ৮০টির বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়ে এই বিক্ষোভ।
গার্ডিয়ান বলছে, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে শতশত বিক্ষোভকারী, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের বাহিনী। তবে এরপরেও ইরানজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।
অনেক নারী বিক্ষোভকারী বিক্ষোভের সময় তাদের হিজাব খুলে পুড়িয়ে ফেলেন এবং তাদের চুলও কাটছেন। অনেকে আবার নারী, জীবন, মুক্তি বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।