‘পর্যটনশিল্প বিকাশে অবারিত সুযোগ আছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ছবি

দেশে পর্যটনশিল্প বিকাশের অবারিত সুযোগ রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পর্যটন মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ ভ্রমণের মাধ্যমে একে অপরের সান্নিধ্যে আসে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারে। প্রতিবছর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে সবাইকে পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ উদ্যোগ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটনশিল্পের গুরুত্ব অনুধাবনের পাশাপাশি পর্যটনবিষয়ক কর্মকাণ্ডে সার্বজনীন অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে করি।

‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Rethinking Tourism’ যার ভাবার্থ ‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, পর্যটনশিল্প বিকাশের অবারিত সুযোগ রয়েছে। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা সৌন্দর্য। রয়েছে অসংখ্য স্বতন্ত্র পর্যটন সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান। এসব অঞ্চলে পর্যটনশিল্প বিকাশ লাভ করলে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিত উপায়ে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আমি পরিবেশের ভারসাম্য ও দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

শেয়ার করুন