প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে যেন একটু শীতল হাওয়ার পরশ হয়ে এলো আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। প্রথম ম্যাচটি কোনোমতে জিতলেও আজ বেশ দাপটেই জিতেছে বাংলাদেশ। আবুধাবিতে ৩২ রানের বড় জয়ে ২-০ ব্যবধানে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধোলাই করল বাংলাদেশ। অধিনায়ক হিসেবে সোহানের এটা প্রথম সিরিজ জয়। যদিও ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থেকেই গেল; তবু বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ জয় থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাবে টাইগাররা।
রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে আরব আমিরাত। তৃতীয় ওভারেই চিরাগ সুরিকে (৪) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৬ষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাসকিন। লেগ বিফোর হয়ে ফিরেন অপর ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম (১৮)। পরের ওভারেই মোসাদ্দেক হোসেনের জোড়া আঘাতে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিক দল। ২৯ রানে নেই ৪ উইকেট! এরপর পঞ্চম উইকেটে ৭২ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান এবং বাসিল হামিদ। কিন্তু পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া সেটা কোনো কাজে লাগেনি।
৩৬ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক রিজওয়ান। এবাদত হোসেনের শিকার হওয়ার আগে বাসিল আহমেদ করেন ৪০ বলে ৪২ রান। রান ও বলের পার্থক্যটা এতটাই বেড়ে যায় যে, শেষ ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। সেই হিসাব মেলানো কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। ৫ উইকেটে ১৩৭ রানেই থেমে যায় আমিরাতের ইনিংস। ৩২ রানের জয়ে আমিরাতকে ধোলাই করে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক হোসেন নিয়েছেন ৮ রানে ২ উইকেট। ১টি করে নিয়েছেন তাসকিন, নাসুম এবং এবাদত।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনিংয়ে নামা মেহেদি মিরাজ। তবে স্ট্রাইকরেট মাত্র ১২৪.৩২। আরেক ওপেনার সাব্বির রহমান এক চার এক ছক্কায় ৯ বলে ১২ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে মোসাদ্দে ক হোসেন সৈকতের ব্যট থেকে। এছাড়া লিটন দাস ২০ বলে ২৫, আফিফ হোসেন ১০ বলে ১৮ রান করেন। শেষদিকে ইয়াসির আলীর ১৩ বলে ২১* আর অধিনায়ক সোহানের ১০ বলে ১৯* রানে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৯ পর্যন্ত যায়।