‘হাওয়া’র পরিচালক সুমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাওয়া
সংগৃহীত ছবি

‘‌হাওয়া’ সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিক মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন। মামলার বাদীর আইনজীবী মো. জাকির হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

universel cardiac hospital

এর আগে ২৮ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের আদালতে মামলার বাদী বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা এ আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয় আদেশের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।

এদিন বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ মোতাবেক মামলাটি আপসযোগ্য হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা মোতাবেক মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে রায়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ এর ৩৮(১), ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারায় বাদী মামলাটি করেন। আসামি অত্র মামলা সম্পর্কে অবগত হয়ে হাওয়া সিনেমায় ব্যবহৃত বন্যপ্রাণী সম্পর্কে অবগত ছিলেন না এবং আসামি বন্যপ্রাণী ব্যবহার করলে যে অপরাধ হতে তা জানতেন না। আসামি নিজের ব্যবহৃত প্যাডে বন্যপ্রাণী ব্যবহার সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশসহ নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন৷ এরপর মামলার বাদী তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ মামলাটি প্রত্যাহার করতে ইচ্ছুক।

এর আগে ১৭ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গত ২৯ জুলাই হাওয়া চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানানো হয়, এই চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন চান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী।

রিভিউ প্রকাশের পর হাওয়া চলচ্চিত্রে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও একপর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লংঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)।

এর পরদিন গ্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লংঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

শেয়ার করুন