চলতি বছর এখন পর্যন্ত (৩০ সেপ্টেম্বর) ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬ হাজার। গত বছর দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল ২৮ হাজার ৪২৫ জনের।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এক দিনে নতুন ২৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৫০ জন। ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ জন। সবমিলিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯১৬ জনে। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ৪৪৮ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ৪৬৮ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ৯২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৪ হাজার ১২০ জন।
এদিকে দেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫৫ জন। গত ৬ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়। এটি এ বছর একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ৬ হাজার ৬০ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ৬ হাজার ২৩ জনের, ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় ৩৭ জনের। ২০১৭ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ২ হাজার ৮৮৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ২ হাজার ৭৬৯ জনের, ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় ১১৬ জনের। ২০১৮ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১০ হাজার ১৬২ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ১০ হাজার ১৪৮ জনের, ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় ১৪ জনের।
এরপর ২০১৯ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ৫১ হাজার ৮১০ জনের, ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় ৪৯ হাজার ৫৪৪ জনের। ২০২০ সালে আবারও সংক্রমণ কমে আসে। বছরটিতে সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এক হাজার ৪০৫ জনের। এরমধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ১ হাজার ২২৪ জনের, ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় ১৮১ জনের।
২০২১ সালে এসে আবারও ডেঙ্গু প্রকোপ বেড়ে যায়। বছরটিতে সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ২৩ হাজার ৬১৩ জনের, ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় ৪ হাজার ৮১২ জনের।