জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আর ১৪ মাস পরে নির্বাচন। এখন নির্বাচন সামনে রেখে একটি অশুভ চক্র হিন্দুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভারত সরকারকে জানিয়ে দিতে চায় যে এ কাজটা আওয়ামী লীগ করেছে। আওয়ামী লীগের হাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় এমন বার্তা দিতে চায়। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
রাজধানীর গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে আজ রোববার তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকার একাধারে ১৩ বছর ক্ষমতার মঞ্চে আসীন আছে। এই ১৩ বছরে ১৩টি দুর্গাপূজা হয়েছে। ৩০ হাজার পূজামণ্ডপ হয়েছে। এবার ৩২ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে মাত্র একটিবার দুর্গাপূজা সহিংসতার টার্গেট হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতার টার্গেট হয়েছে। দুর্বৃত্তদের টার্গেট হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর টার্গেট হয়েছে। মন্দির টার্গেট হয়েছে। তাদের দোকানপাটে পর্যন্ত হামলা হয়েছে। একাধারে ১১টি দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে হয়েছে। কোনো শান্তি বিনষ্ট হয়নি। কিন্তু গতবার দুর্ভাগ্যজনক কিছু ঘটনা ঘটে গেছে।
গত বছরের দুর্গাপূজায় হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ১১ বছর যখন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, এবারও শান্তিপূর্ণ হবে—এ রকম চিন্তা-ভাবনা থেকে সতর্কতার কিছুটা অভাব ছিল। কোথাও কোথাও রাজনৈতিকভাবে আমরা অসতর্ক ছিলাম, এ কথা সত্য। চৌমুহনীতে ছিল ভয়াবহ অবস্থা। একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হিন্দুদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে যান। নিজেদের বিপদ মনে করে ভোটে প্রার্থী হন, কিন্তু হিন্দুরা যখন বিপদে পড়ে, তখন কোথায় থাকেন? আমি সে কথা এবারও বলছি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্য করে কাদের আরও বলেন, আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না। আজকে সপ্তমী, আগামীকাল অষ্টমী—কুমারী পূজা। এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন—ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।