দাম বাড়াতে তেল উত্তোলন কমাবে ওপেক প্লাস, মাথাব্যথা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

খনি থেকে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল বা তারও বেশি জ্বালানি তেল উত্তোলন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎপাদন ও বিক্রয়কারী ১৫ দেশের জোট ওপেক প্লাস। জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে তারা এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ওপেক সূত্রের বরাতে রয়টার্স বলেছে, দৈনিক তেল উত্তোলন হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত ওপেকের আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে চূড়ান্ত হতে পারে। জোট সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রস্তাবটি অনায়াসে পাস হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ বা ওপেক তেল উত্তোলক আর রপ্তানিকারক ১৪ দেশের জোট। রাশিয়া এই জোটের সদস্য হওয়ার পর জোটের নতুন নাম হয়েছে ওপেক প্লাস।

জোটের অন্য দেশগুলো—সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, ইকোয়াটিয়াল গিনি, গ্যাবন, ভেনিজুয়েলা ও ইকুয়েডর।

গেল কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দাম ‘বাজারে অস্থিরতার’ মধ্যে গেল সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে নেমে আসে। দাম হ্রাস ঠেকাতে উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশগুলো উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও ওপেক উত্তোলন হ্রাস করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের নিষেধাজ্ঞায় পড়া রাশিয়া রুবলের বিনিময়ে বিক্রি করায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে আসছে। আর বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দাভাবের কারণে চাহিদা কমে আসায় তেলের দাম কমতে প্রভাব ফেলছে। অয়েল প্রাইস ডটকমের বৃহস্পতিবারের তথ্যানুসারে, প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯২ দশমিক ৩৮ ডলার। এক ব্যারেল সমান ১৫৯ লিটার।

রয়টার্স বলেছে, বিশ্ববাজারে শীর্ষ তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে দিনে হ্রাস পাবে বর্তমানে উৎপাদিত তেলের ১ শতাংশেরও বেশি। এর প্রভাবে তেলের দাম বাড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জ্বালানি বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের অসন্তোষের কারণ হবে। পরাশক্তিধর দেশটি বরাবরাই মধ্যপ্রাচ্যের উৎপাদক বিভিন্ন দেশকে বলে আসছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেল সরবরাহ যেন ব্যহত না হয়।

রয়টার্স বলছে, ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে জোটের বর্তমান চেয়ার সৌদি আরবের সরকারি মুখপাত্রদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাদের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

শেয়ার করুন