অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতীকী ছবি

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের আট ধাপ উন্নতি হয়েছে। বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) সূচক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ সূচকে ৩৩ নম্বর ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে ৪১ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে।

মঙ্গলবার সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১২৮ দেশের মধ্যে তালিকায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো, হাইতি, মিয়ানমার, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কার। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ হলো ফিনল্যান্ড, অ্যান্ডোরা, সুইডেন, আইসল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

সূচকে গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের অবস্থানের উন্নতি হলেও অবনতি হয়েছে পাকিস্তানের। সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ২৭তম, ভুটান ২৮তম এবং শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৩১তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও পাকিস্তানের থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের গোপনীয়তা ও মানব পাচার প্রতিরোধে অগ্রগতির বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসরকার কাজের সমন্বয়, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রতিরোধে সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাসেল এএমএল ১১ বছর ধরে পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক নির্ধারণ করে থাকে। সেগুলো হলো- অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা পরিপালন, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক মানদণ্ড ও স্বচ্ছতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি।

শেয়ার করুন