ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। ফলে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে মস্কো। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি অ্যান্তোনভ বলেছেন, ইউক্রেনকে যে সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা রাশিয়ার জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে অংশ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আনাতোলি অ্যান্তোনভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কিয়েভ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক ভারী অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা শুধু এ সংঘাতের একটি পক্ষ হিসেবে ওয়াশিংটনের অবস্থানের সুরক্ষা দেবে। তিনি দাবি করেন, এর ফলে ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত ও নতুন নতুন প্রাণহানি ছাড়া কিছুই হবে না।
রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমরা ওয়াশিংটনকে তাদের উসকানিমূলক কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ এসবের পরিণাম হতে পারে সবচেয়ে ভয়ানক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ৬২৫ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে বাইডেন এই অর্থ সহায়তার কথা জানান।
তাছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বরের একটি বিলেও সই করেছেন বাইডেন। এর মাধ্যমে ইউক্রেনকে ১২ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে। এ সব অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে কিয়েভ। কারণ ইউক্রেনের সেনারা সম্প্রতি উত্তরপূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অগ্রসর হতে সক্ষম হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেন আক্রমণ করার পর কিয়েভকে ১ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুত এ সামরিক সহায়তার মধ্যে বেশির ভাগ কিয়েভ পেয়েছে। বাকিগুলো ইউক্রেনে পাঠানোর কাজ চলছে।