বিশ্ব জগতে আবার এসেছে বরকতময় রবিউল আউয়াল। ৯ অক্টোবর (১২ রবিউল আউয়াল) রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এদিন মুসলিম জাতির হৃদয়স্পন্দন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শুভাগমন এবং ওফাত দিবস। দিনটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বনবীর পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত ও শান্তির দূত হিসেবে প্রিয় নবীকে এ জগতে প্রেরণ করেন। তিনি ছিলেন তাওহীদের প্রচারক, রিসালাতের ধারক ও বাহক এবং সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। এ মর্মে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন, ‘আর আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ আল-কোরআনে আল্লাহতায়ালা আরও ইরশাদ করেন, ‘হে রাসুল! আমি আপনাকে বিশ্বের সমগ্র মানুষের সংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
মহানবী (সা.) বিশ্বকে সভ্যতা ও সংস্কৃতির শিক্ষা দিয়েছেন। অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ মানবজীবন পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে যে নীতিমালা তিনি দিয়েছেন তা সর্বকালের মানুষের জন্য অনন্য ভাস্বর ও সবচে বেশি কার্যকর। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে নবী মোস্তফা (সা.) উপস্থাপিত ইসলামী বিধানের যথেষ্ঠ মিল রয়েছে। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা, মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়তে থাকে মুসলমানরা।
আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর বিশ্বে প্রিয় নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের সবার মনে সহনশীলতা, সংযম, হৃদ্যতা, সম্প্রীতি, পারস্পরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সৃষ্টিতে সহায়ক হোক।