সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। তবে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ৩০ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে ২০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ বাজারটিতেও সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
অবশ্য দুই বাজারেই যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে বা কমেছে, তার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকার পরিমাণ বেশি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় সূচকটি ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমতে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ১৪ মিনিটে ডিএসইতে ১২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির। আর ১৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৯৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির।