একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছবি : ইন্টারনেট

দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমান- ১২ রানের ব্যবধানে বিদায় নেয়ার পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন লিটন-আফিফ। দু’জনের ব্যাটে ৫০ রানের জুটিও গড়ে ওঠে। ২ উইকেটে ৩৭ রান থেকে ৮৭ রানে নিয়ে যান তারা দলীয় স্কোরকে।

কিন্তু এ সময়ই ঘটে বিপর্যয়। পাকিস্তানি স্লো বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের পরপর দুই বলে উইকেট হারান লিটন দাস এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। হ্যটট্রিকের সুযোগ ছিল। তবে হ্যাটট্রিক না হলেও দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ বিপদে ফেলে দিয়েছেন নওয়াজ।

universel cardiac hospital

একপাশ আাগলে দারুণ খেলছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন তিনিও। ২৩ বলে ২৫ রান করে শাহনাওয়াজ ধানির বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে পারেন। এ কারণে তারওপর প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু ৯ বল খেলে ৮ রান করে বিদায় নেন তিনিও। বোলার শাদাব খান এবং ক্যাচ নেন ইফতিখার আহমেদ।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৬.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯। ৭ রান নিয়ে ইয়াসির আলী রাব্বি এবং ২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তাসকিন আহমেদ।

১৬৮ রান খুব বেশি বড় লক্ষ্য নয়। উইকেট ধরে রেখে রানের চাকা ঠিক রাখতে পারলে জয় সম্ভব। সে লক্ষ্য নিয়েই শুরুতে ব্যাট করছিলেন দুই মেকশিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমান।

দু’জনের জুটিতে ২৫রানও উঠে গিয়েছিল। কিন্তু মোহাম্মদ ওয়াসিমের বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে বল উপরে তুলে দিলেন মিরাজ। ডিপ স্কোয়ার লেগে বল চলে যায় আসিফ আলির হাতে। ১১ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

প্রায় একই ভুল করে আউট হলেন সাব্বির রহমানও। লিটন দাসের সঙ্গে তার জুটিটা বড় হলো না। মাত্র ১২ রানের। ৬ষ্ঠ ওভারের ৫ম বলে হারিস রউফের বলকে ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু এখানেও বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় এবং হারিস রউফ নিজেই সেই ক্যাচ তালুবন্দী করেন।

২৬ বলে ৩৫ রান করেন লিটন দাস। নওয়াজের বলে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে হায়দার আলির হাতে ধরা পড়েন লিটন। মোসাদ্দেক হোসেন এসেই এলবিডব্লিউর শিকার হন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৭৮ রানের ওপর ভর করে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ৩১ রান করেন শান মাসুদ, ২২ রান করেন বাবর আজম এবং ১৩ রান করে ইফতিখার আহমেদ। তাসকিন নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ এবং হাসান মাহমুদ।

শেয়ার করুন