শনিবার (৮ অক্টোবর) দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়াম এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডিসি-এসপি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে ডাকা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন গঠন হওয়ার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রথম এ বৈঠক হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আচরণ বিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে। বুধবারও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সাথে সাক্ষাৎ করে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছে। এরপর ওইদিনই ইসি থেকে সব ডিসি-এসপিদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
শনিবারের বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, এতে ফরিদপুর-২ ও গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ তফসিল ঘোষিত বেশকিছু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিষয়গুলো আনা হয়েছে। কার্যপত্রে এসব নির্বাচনের আচরণ বিধি প্রতিপালনের বিষয়গুলো আনা হয়েছে।
ভোলা ও ফেনীর সবগুলো পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ও উচ্চ আদালতের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এগুলো কার্যপত্রে আনা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সামনে জেলা পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশান নির্বাচন আছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশন মাঠের রিপোর্ট বুঝতে চায়, জেলা পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের চ্যালেঞ্জগুলো জানতে চায়।
দক্ষতার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যেই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, সমন্বয় সাধন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করাই হবে এই আলোচনার উদ্দেশ্য। এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা করতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো উত্তরণের পথ বের করতেও মতবিনিময় করবে কমিশন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন, ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন ও ৫ নভেম্বর ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন এবং ২ নভেম্বর স্থানীয় সরকারের বেশ কিছু নির্বাচন রয়েছে।