প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) দলীয় কর্মী হিসেবে নয়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) শক্ত অবস্থানে থাকবে। ডিসি–এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন এ বার্তা দিয়েছে।
আজ শনিবার জেলা পরিষদ নির্বাচন ও অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে সব জেলার ডিসি–এসপিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। মতবিনিময় শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মতবিনিময়ে ডিসি-এসপি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন ও অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম অংশ নেন। বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সেই সঙ্গে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছি, দলনিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা আশা করি, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। মতবিনিময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি বলেছে, কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বিষয়ে কর্মকর্তাদের আচরণে এমন কিছু যাতে প্রতিফলিত না হয়, যাতে জনগণ ভাবতে পারে, তারা একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন।
কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, আপনারা আচরণে এমন কোনো কিছু করবেন না, যাতে সাধারণ মানুষ মনে করতে পারে, আপনারা পক্ষপাতদুষ্ট, আপনারা দলনিরপেক্ষ নন। আপনাদের অবশ্যই দলনিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। আপনাদের গণকর্মচারী হিসেবে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। কর্মে কখনো নিজেদের দলীয় কর্মী ভাববেন না বা মনে করবেন না। আপনাদের আচরণে এমন কিছু যেন প্রতিফলিত না হয় যে জনগণ মনে করে আপনারা কোনো দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, বৈঠকে ডিসি–এসপিরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে প্রচুর ‘ভোটার এডুকেশন’ দরকার। অনেকে প্রযুক্তি ভয় পান। এ কারণে অনেকে ইভিএম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। বেশিসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে বুথ (ভোটকক্ষ) বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। ইসি এটি পর্যালোচনা করে দেখবে।