পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক বাড়ছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে অতিরিক্ত পর্যটকের চাপে আবাসিক হোটেলে কক্ষ সংকট দেখা দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দুর্গাপূজা ও ঈদে মিলাদুন্নবীর টানা ৫ দিনের সরকারি ছুটিতে তীর ধারণের ঠাঁই নেই। আবাসিক হোটেলে কক্ষ না পেয়ে আশপাশের বাসাবাড়ি ও বাসে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে পর্যটকদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে টানা ৫ দিনের ছুটি পেয়েছে সরকারি চাকরিজীবীরা। দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করতে তাই ভ্রমণপিপাসুরা বেছে নিয়েছেন সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সারা দেশের সঙ্গে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। মাত্র ৫-৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পর্যটকরা আসতে পারছেন। সাগরের বিশালতায় এত দিন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা যে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছিল, তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
আবাসিক হোটেল সাগরকন্যার ম্যানেজার ইব্রাহিম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখানে দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেলেই কুয়াকাটা আসি। কিন্তু প্রতিবারই হোটেলে রুম না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রুম নিতে হয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আরও ভিন্ন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও কোথাও রুম পাওয়া যায়নি। তাই বন্ধুরা মিলে বাসের মধ্যেই রাত্রিযাপন করছি।
কুয়াকাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কুয়াকাটা পৌরসভার সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, কুয়াকাটায় আগে বর্ষার সময় তেমন লোক থাকত না। এখন সব সময়ই প্রচুর পর্যটক আসে এবং আমরা সার্বক্ষণিক তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। পর্যটন স্পটগুলোতে আমাদের টহল জোরদার করেছি।