শীত আসছে। সেই সঙ্গে ইউরোপে বাড়ছে উদ্বেগ। করোনার নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে ইউরোপজুড়ে। ইতিমধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা টিকা নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, টিকার প্রতি উদাসীনতা ও টিকার ডোজ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। খবর সিএনএন–এর।
এবার গ্রীষ্মে ওমিক্রনের বিএ.৪/৫ উপধরনটি সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে। এখনো সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের পেছনে এই উপধরনকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে করোনার অন্যান্য উপধরন থেকেও সংক্রমণ বাড়ছে।
চলতি সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের আরও বেশ কয়েকটি নতুন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে এক সপ্তাহে ১৫ লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। অবশ্য এ সময় করোনা পরীক্ষার হার ব্যাপক কমে গেছে। তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনা সংক্রমনের হার নিম্নমুখী।
৪ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বেড়েছে ৩২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যে বেড়েছে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। গত সেপ্টেম্বরে করোনার ওমিক্রন ধরন প্রতিরোধে টিকা উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যে কেবল বিএ.১ উপধরনটির জন্য টিকাটি প্রয়োগের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।