ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে টাইগারদের সহজেই হারাল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে ১৩ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা খুব বেশি ভালো হতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ১ উইকেটে হারিয়ে ৪০ রান তুলতে পারে নিউজিল্যান্ড। তবে তাতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও দলনেতা কেন উইলিয়ামসন। দুজন মিলে গড়েন ৮৫ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। ২৮ বলে ৩০ রান করে আউট হন দলনেতা কেন উইলিয়ামসন। পরে গ্লেন ফিলিপসে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কনওয়ে।
ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করার পর ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভন কনওয়ে। মাত্র ৫১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ৯ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফিলিপস। ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া মিচেল ব্রেসওয়েল ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। টিম সাউদির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অ্যাডাম মিলনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলে যান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও ড্যাশিং ব্যাটার লিটন কুমার দাস। কিন্তু ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না লিটন। মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হয়েছেন ১৬ বলে ১৫ রানে। এদিকে পরের ওভারে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন ওপেনার শান্ত। রানে ফেরেন মোসাদ্দেক।
এরপর দলীয় স্কোর বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তার সঙ্গ দিতে পারেননি পাকিস্তহানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা ইয়াসির রাব্বী। ৯ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরের উইকেটে দলনেতা সাকিবকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের করা বলে বোল্ড আউট হন আফিফ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ রান।
এদিকে দলনেতা সাকিব আল হাসান ১৬ বলে করেন ১৬ রান। তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। আর মাত্র ১২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। হাসান মাহমুদ অপরাজিত থাকেন ১ রানে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন ইশ সোদি, টিম সাউদি ও মিচেল ব্রেসওয়েল ও ট্রেন্ট বোল্ট।