থাইল্যান্ডের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে (প্রি-স্কুল ডে-কেয়ার সেন্টার) সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার হামলার ঘটনায় ২৩ শিশুসহ ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে থাকা ২৪ শিশুর মধ্যে ২৩ শিশুই নিহত হয়েছে। বেঁচে আছে শুধু একটি শিশু। তিন বছর বয়সী ওই শিশুর নাম অ্যামি। কিন্তু সে হামলার বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না। ওই দিন কী হয়েছিল, কিছুই জানে না সে।
বিবিসি অনলাইনে আজ রোববারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নং বুয়া লাম্ফু প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারীর সৎছেলে ও স্ত্রীও নিহত হয়েছেন। এর আগে এএফপি, রয়টার্সের খবরে হামলায় ২২ শিশুসহ ৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার দিন ছোট্ট অ্যামি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে তার বন্ধুর সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। আর ওই হামলাকারী দিবাযত্ন কেন্দ্রে থাকা ঘুমন্ত শিশুদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রে থাকা ২৪ শিশুর মধ্যে কেবল অ্যামি প্রাণে বেঁচে গেছে।
কেন্দ্রে থাকা তিন বছর বয়সী ১১টি শিশুকে সকালেই আঁকা ও লেখার কাজ করানো হয়। কাজ শেষে সবাই উচ্ছ্বসিত ছিল। সকাল ১০টার দিকে শিক্ষকেরা ওই শিশুদের হাসি মুখের ছবি অভিভাবকদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এর দুই ঘণ্টা পরই ছিল শিশুদের ঘুমানোর সময়। এই সময় পুলিশের সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পানিয়া খামরাব ওই দিবাযত্ন কেন্দ্রের ভেতর বন্দুক ও ছুরি নিয়ে হামলা চালান।