পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে লাখো মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দুই বছর সীমিত পরিসরে জুলুস উদযাপন করা হলেও এবার মহামারির বাধা কাটিয়ে নবীপ্রেমী লাখো মানুষ অংশ নিচ্ছে এই জুলুসে।
রোববার সকালে নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই জামেয়া মাদ্রাসার মাঠ পেরিয়ে আসার পরই এ মিছিল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এদিন ভোর থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামেয়া ময়দানে এসে জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মানুষ বিবিরহাট, মুরাদপুর থেকে জুলুসে যোগ দেন।
এদিকে মিলাদুন্নবীর জুলুস উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকা সেজেছে রঙিন সাজে। নানা ব্যানার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে সড়কের দুই পাশ।
জুলুস পর্যবেক্ষণে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একটি ম্যানেজমেন্ট টিম থাকবে বলে জানিয়েছেন জুলুসের আয়োজক সংস্থা আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তারা জানান, বিশ্বনবীর আগমনী দিবসে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে যে জুলুস পালন করা হয়, সেখানে লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করে। এমন জুলুস পৃথিবীর আর কোথাও হয় কি না জানা নেই। এটিকে সবচেয়ে বড় জুলুসের স্বীকৃতি দিতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার তাদের একটি ম্যানেজমেন্ট টিম পর্যবেক্ষণে থাকবে।
এদিকে জুলুসে নেতৃত্বদানকারী আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহের (মজিআ) জন্য সাজানো হয়েছে বিশেষ গাড়ি। সেই গাড়িতে অন্যদের মধ্যে আছেন আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান।
গাউসে জামান হজরতুলহাজ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহের (মজিআ) নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই জুলুস নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জিইসি প্রদক্ষিণ করে ফের মুরাদপুর হয়ে বিবিরহাট মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।