ভোটারের ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘন’ হলে ভোট বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট দেওয়ার সময় ভোটারের ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘন’ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভোট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুধু তাই নয়, অবৈধ অবস্থানকারীকে ভোট কেন্দ্র থেকে সরিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন ও ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেয় ইসি। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরাই এ ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়।

universel cardiac hospital

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেউ ভোট কক্ষে অবৈধভাবে অবস্থান করলে বা ভোটারের ভোট প্রদানে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই কক্ষের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে অবৈধভাবে অবস্থানকারীকে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ওই ব্যক্তিকে ভোটকেন্দ্র থেকে অপসারণ করার পরই কেবল ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে হবে।

সার্বিকভাবে ভোটগ্রহণের সময় যাতে ভোটারের ভোট প্রদানের গোপনীয়তা বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ভোটকেন্দ্রে ভোট চলাকালে গোপন কক্ষে কোনো ভোটার ব্যালট বা ইভিএমে ভোট প্রদানের সময় গোপন কক্ষে বা তার নিকটস্থ চিহ্নিত স্থানে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তি যাতে ভোট প্রদানের গোপনীয়তাকে বাধাগ্রস্ত না করেন তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

একই সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনরত কেউ উল্লিখিত নির্দেশনা পালন না করলে বা দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য প্রদর্শন করলে তার বিরুদ্ধে ‌‘নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।

আগামী ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ও ১৭ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন। তবে এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং তিন পদে সব মিলিয়ে ১১৪ জন ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।

শেয়ার করুন