নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি আসনের বিপরীতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশ মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার পর্ষদের সদস্য পদ পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ঢাকা নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২০২৩-২৫ মেয়াদের এই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো হলো- দক্ষিণ কোরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও বাহরাইন। এর মধ্যে মালদ্বীপ সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব শেষ করেছেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মানবাধিকার পরিষদের সদস্য পদ পেতে বাংলাদেশ ভালো প্রচারণা চালিয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী।
মন্ত্রণালয়ের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, খুব সহজেই বাংলাদেশ নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে যাবে, এটা বলা ঠিক হবে না। কেননা, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম শক্ত প্রদিপক্ষ। তবে বাংলাদেশ ভালো প্রচারণা করেছে। আমরা আশাবাদী।
৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার পরিষদে এর আগে বাংলাদেশ দুই মেয়াদে ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পরিষদের সদস্য ছিল। নিয়ম অনুযায়ী দুই মেয়াদে সদস্য থাকার পরে অন্তত এক বছর বাদ দিয়ে কোনো দেশ নির্বাচন করতে পারবে।
গত ৪ অক্টোবর মানবাধিকার পরিষদে ভোটাভুটি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভোটাভুটিতে আমার বিশ্বাস করি। আমরা জিতব। কারণ আমরা পৃথিবীতে মানবাধিকারের ব্যাপারে বড় সোচ্চার দেশ। সবসময় আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, মানুষের মানবিক অধিকারে জন্য সংগ্রাম করি। আমরা বহু বছর ধরে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য। আমাদের বিশ্বাস এবারও আমরা জয়যুক্ত হব। আমাদের প্রস্তুতি অনেক ভালো।