গত কয়েকদিন দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক স্থানেই বৃষ্টি হচ্ছিল। কোনো কোনো স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিও হচ্ছিল। মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমায় সেই বৃষ্টির প্রবণতা আপাতত কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ছাড়া সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিসর ও পরিমাণ ছিল কম। এ সময়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, এটাই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টি।
সোমবার ঢাকায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। মঙ্গলবার সকালে কিছু সময়ের জন্য ঢাকার আকাশ মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘ কেটে রোদের দেখা মেলে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, পরবর্তী তিনদিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।