গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, গাইবান্ধায় নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিলো, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিং করে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় এ নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে সিইসি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষণ কক্ষ করেছি। ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করেছি। আমরা ভোটকেন্দ্র থেকে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) ৯১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় ভোটগ্রহণ সঠিকভাবে হচ্ছে না, ফেয়ারলি হচ্ছে না। তাহলে নির্বাচন কমিশন সব ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে। আমরা এ আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো নির্বাচনী এলাকার (গাইবান্ধা-৫ আসন) ভোট কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ওখানে এখন আর ভোট হচ্ছে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারাও একটা সময় আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন। আমরা প্রথম থেকে লক্ষ করেছি, ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রে আমরা গোপন ভোটকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ দেখেছি। অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট দিতে সহায়তা করছেন অথবা বাধ্য করছেন। এটা আমরা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি। যেটা নিয়ম নয়। আমরা দেখেছি, সম্ভবত পোলিং এজেন্ট তাদের গায়ের গেঞ্জিতে নির্বাচনের প্রতীক ছাপানো ছিল, যা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি।
এদিকে, সিইসির নির্বাচন বন্ধের ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া একযোগে বাকি চার প্রার্থী ভোটবর্জন করেছিলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। আর ভোটবর্জন করা প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্রপ্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।