মার্চের মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২০ কোটি ডলার ফেরত পাওয়া যাবে: গভর্নর

মত ও পথ রিপোর্ট

তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এ ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিতে পেরে শ্রীলঙ্কা কয়েক দফা সময় চায় এবং বাংলাদেশও সময় দেয়। ডলার পরিশোধের সর্বশেষ সময় আগামী ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস।

এসব কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরসের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই ২০ কোটি ডলার ফেরত পাওয়া যাবে।

universel cardiac hospital

বোর্ড অব গভর্নরসের বৈঠকের বাইরে তিনি শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল বীরসিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং সেখানেই এমন আশ্বাস পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘দেশটি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে আমাদের অর্থ ফেরত দিতে পারেনি। ঋণ শোধের মেয়াদ আমরা দুই দফা বাড়িয়েছিলাম।’

গভর্নর বলেন, ‘নন্দলাল বীরসিংহ নিশ্চিত করেছেন যে তাঁরা অর্থনীতি পুনর্গঠন করছেন এবং ভারত, জাপান ও চীনের সঙ্গে মিলে তা করছেন। আইএমএফের একটা কর্মসূচিতেও যাচ্ছেন তাঁরা। আগামী দুই মাসের মধ্যেই হয়তো আইএমএফের সঙ্গে একটা চূড়ান্ত চুক্তিতে যাবেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, আগামী সময়সীমার মধ্যে তাঁরা আমাদের ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারবেন।’

বাংলাদেশের জন্য এটা খুবই ভালো খবর বলেও মন্তব্য করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, ‘দেশটি এত দিন এ নিয়ে কথা বলেনি। কিন্তু আজ তাদের গভর্নর আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।’

আগামীকাল কমনওয়েলথ দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর গভর্নরদের নিয়ে বৈঠক আছে এবং বাংলাদেশ এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করছে। আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, তিনি এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গভর্নর এখন ওয়াশিংটনে আছেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল না যাওয়ায় তিনিই বাংলাদেশের ১১ সদস্যের দলের নেতা। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন স্ট্যান্ডার্ড-চার্টার্ড এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিনিধি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি-মরগ্যানের ভাইস চেয়ারম্যান।

গভর্নর বলেন, ‘এ দুটি বৈঠক হয়েছে তাদেরই চাওয়ার কারণে। বাংলাদেশকে বিভিন্ন সুবিধা দিতে চায় তারা। আমরা বলেছি যে প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করব। এ–ও বলেছি যে আমাদের বেসরকারি খাতকে তারা যেন সহায়তা করে।’

শেয়ার করুন