করোনা সংকটে অর্থনীতির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা খাত। ফলে এ খাতের উত্তরণে বেশি বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এরই মধ্যে সদস্য দেশগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়নে ২৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৫০ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৬ টাকা হিসাবে)। মোট ১৭৮টি শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ দেওয়া হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘অ্যান্ডিং লার্নিং প্রোভার্টি অ্যান্ড বিল্ডিং স্কিল: ইনভেস্টিং ইন এডুকেশন ফ্রম আর্লি চাইল্ডহুড টু লাইফলং লার্নিং ফাইন্ডিংসে’ এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক জানায়, শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় কারিগরি সহায়তা হিসেবে ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৮০৩ কোটি ডলার দেওয়া হবে। যার মধ্যে প্রত্যেক সদস্য দেশকে শিক্ষার মানোন্নয়নের মাধ্যমে গুণগত শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের রূপরেখা করে দেবে। শিক্ষা খাতের এ ঋণ বিশ্বব্যাংকের মোট ঋণের ৮ শতাংশ।
ফাইন্ডিংসে জানানো হয়, স্বল্প আয়ের দেশগুলোর শিক্ষা সহায়তায় বৃহৎ বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বর্তমানে শিক্ষায় বৈশ্বিক অংশীদারের ৫৫ শতাংশ ব্যবস্থা করছে। এরই মধ্যেই শিক্ষা সহায়তায় বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে ৩ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি জানায়, ২৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে পাওয়া যাবে ১৪ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি) থেকে ৮ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার এবং রিসিপেইন্ট এক্সিকিউটেড ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ৬১০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে।
এ অর্থ থেকে কারিগরি ও দক্ষতা উন্নয়নে ১৫ শতাংশ, শিশু শিক্ষায় ১৪ শতাংশ, প্রাথমিক শিক্ষায় ২৪ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ২৫ শতাংশ এবং অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষায় ২২ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে।
ফাইন্ডিংসে আরও জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের এ অর্থে সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষার কয়েকটি খাতে উন্নয়ন করা হবে। যেমন- শিক্ষকদের ট্রেনিং, ক্লাস রুম, স্কুলের আসবাবপত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার, স্কুলে গবেষণাগার স্থাপন এবং সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের পলিসির উন্নয়নে গুরুত্বরোপ করেছে বিশ্বব্যাংক।