বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। এই নিজস্ব সংস্কৃতি উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষায় প্রেরণা দেয়। বাংলাদেশের এমন কিছু নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষায় প্রেরণা দিয়েছে। যেমন নারীর কর্মসংস্থান, মেয়েদের শিক্ষা, শিশু মৃত্যু কমানো—এসব সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে ফল দিয়েছে।
আজ রোববার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘আকাঙ্ক্ষার গতি প্রেরণা: বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প’ শীর্ষক সেমিনারে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী ও বিআইডিএসের গবেষক মাহির এ রহমান যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মূল প্রবন্ধের ওপর বিশেষ বক্তা ছিলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রাজধানীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএস মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ দেশের গরিব নারীদের সামনে যে ধারণা হাজির করা হয়েছে, তা তারা গ্রহণ করেছেন। যেমন খাবার স্যালাইন শিশুমৃত্যু কমাতে সহায়তা করেছে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে ভালো করার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে। তৈরি পোশাক খাতে নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লুটপাট, মাস্তানির মতো বিষয় উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মূল্যবোধ সম্পৃক্ত আছে। এই দুইয়ের সমন্বয় ঘটাতে পারলে উন্নয়ন প্রেরণা গতি পায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি না হলে মানুষের উত্তরণ হতো না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো খাতে সরকার নীতি ও বিনিয়োগ করেছে বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা সফল হয়েছে। এসব সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হলে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে যে আকাঙ্ক্ষা আছে, তা পূরণ হবে না।