একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী ও নাট্যকার মাসুম আজিজের মরদেহ আজ মঙ্গলবার সকালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে রাজধানীর বনশ্রীতে সকাল ৯টায় প্রথম জানাজার নামাজ শেষে বেলা ১১ টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাবেক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি মাসুম আজিজকে কখনো মনোবল হারাতে দেখিনি। অঙ্গীকারবদ্ধ নাট্যকর্মী যারা, তাদের মধ্যে প্রধান একজন আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, মাসুম ভাই অত্যন্ত কাজপাগল ছিলেন। বড় অসময়ে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এতে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
বাবার সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাসুম আজিজের ছেলে উৎস আজিজ বলেন, তার সংগ্রামী জীবনের প্রভাব আমাদের উপর পড়তে দেননি। অনেক দৃঢ়চেত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাবা আমাকে বলতেন, সুস্থ হয়ে যাবেন। আমরা এই অভিভাবককে হারিয়ে ফেলেছি।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মাসুম আজিজের মরদেহ বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার নামাজের পর পাবনার উদ্দেশ্যে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। পাবনার সন্তান মাসুম আজিজ। তাই সেখানেই বাদ এশা দাফন সম্পন্ন শেষে নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এ গুণী শিল্পী।
দেশবরেণ্য এ অভিনেতা বেশ কয়েক বছর ধরে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু গত জানুয়ারিতে তার এই রোগ ধরা পড়ে। এরপর কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি নিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত সপ্তাহে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। ক্যানসারের পাশাপাশি হৃদ্রোগে আক্রান্ত এই গুণী শিল্পী লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।