১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা : আপিল শুনানি ৩ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা
সংগৃহীত ছবি

বহুল আলোচিত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) এবং আসামিদের আপিল শুনানির দিন পিছিয়ে ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

universel cardiac hospital

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।

এর আগে গত ২০ জুলাই ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) এবং আসামিদের আপিল শুনানির জন্য ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটিঘাটে খালাসের সময় পুলিশ সদস্যরা আটক করেন ১০ ট্রাক সমপরিমাণ অস্ত্র। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চোরাচালানের ঘটনায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১৪ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেন আদালত। অস্ত্র আইনের পৃথক দুটি ধারায় ১৪ জনের প্রত্যেককে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন ও সাত বছর করে দণ্ডাদেশ।

মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী (মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম (গত বছরের ১৫ আগস্ট কারাবন্দি অবস্থায় ঢামেকে মৃত্যুবরণ করেন), ডিজিএফআই’র সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) উইং কমাণ্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এনএসআইর সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) লিয়াকত হোসেন, এনএসআইর সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সিইউএফএল’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কেএম এনামুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, চোরাচালানী হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক হাজি আবদুস সোবহানকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেন আদালত। বিচারিক আদালতে রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এদিকে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কয়েক আসামির আপিল মামলা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এছাড়া এ মামলায় পলাতক ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ার) নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

শেয়ার করুন