পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে মিতব্যয়ী হচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সরকার মিতব্যয়ী হতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে বিদ্যুৎ সমস্যা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বের যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে- যুদ্ধাবস্থা, কোভিড, মূল্যস্ফীতি, যার কারণে প্রতিটি দেশ হিমশিম খাচ্ছে এবং সাশ্রয়ের দিকে নজর দিয়েছে। আমরাও সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই।

universel cardiac hospital

বুধবার (১৯ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লিপাত্র) স্থাপনকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজ। একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সে কারণে বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যায়, তার ধাক্কা আমাদের ওপরও এসে পড়ে। আমাদের কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে। তার মানে এই নয়, আমাদের বিদ্যুৎ সবাই পাবে না। বিদ্যুৎ সবাই পাবে, পাচ্ছে। তবে কিছুটা মিতব্যয়ী হতে হচ্ছে আমাদের। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এটা আমরা বাধ্য হচ্ছি। আমরা চাই, দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি।

দেশে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অবদান রাখবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য বিরাট অর্জনের দিন। এটা আমাদের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মান বয়ে আনবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর কেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ আসবে, সেটা উত্তরবঙ্গের জন্যই ব্যবহার হবে। তারাই লাভবান হবে বেশি। সেখানে শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।

শান্তি ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তির ব্যবহারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র না, এটা একটা দৃষ্টান্ত, আমরা এ ধরনের একটা কাজ করতে পারি। পরিবেশ ঠিক রেখে আমরা ২৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছি। এতে আমাদের দেশের মানুষ খুব স্বচ্ছ একটা বিদ্যুৎ পাবে। যা আমাদের দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে।

শেয়ার করুন