গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: আরও ৫২২ জনের বক্তব্য শুনল তদন্ত কমিটি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সংগৃহীত ছবি

স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ‘অনিয়ম’ খতিয়ে দেখতে দ্বিতীয় দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্তকাজের অংশ হিসেবে কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি গ্রহণ করছে। এর মধ্যে আজ আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৫২২ জনের বক্তব্য শুনেছে।

আজ সকাল ৯টা থেকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ইসির অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে শুনানি চলে। কমিটির সদস্যসচিব ও ইসির যুগ্ম সচিব শাহেদুন্নবী চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাস উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

আজ শুনানিতে অংশ নিয়ে ৪০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২৭৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে), সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৫২২ জন পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এর আগে মঙ্গলবার গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে ফুলছড়ির ১৪৫ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়।

আজ শুনানিতে অংশ নেওয়া অনেকেই ভোটের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কেউ কেউ ভোটের দিন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের ভয়ে নিরুপায় ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তবে অধিকাংশ পোলিং এজেন্টই নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে সাফাই গেয়ে বয়ান পেশ করেছেন।

সাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শামছুজ্জোহা সরকার জানান, ইভিএমে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। ছোটখাটো ভুলক্রটি ভোট কেন্দ্রে থাকেই। সেক্ষেত্রে এটিই হয়েছে, এর বেশি কিছু নয়। নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো ফোন করা হয়নি আমাকে। পরে জানতে পারি, কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে।

সাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮০নং কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। পরে জোর করে কিছু লোক বুথে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেটি সিসিভিটিতে দেখে (নির্বাচন কমিশন) ভোট বন্ধ করে দেয়। আমরা বেলা দুইটার দিকে কেন্দ্রের ভোট একেবারে বন্ধ করি। তখন আমরা সব কিছু নিয়ে উপজেলায় চলে আসি।

শেয়ার করুন