পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সহযোগিতা ছাড়া কেউ টিকে থাকতে পারেন না। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জঙ্গিদের সহযোগিতা করছে। কিছু সংগঠনের সহযোগিতায় জঙ্গিরা দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বান্দরবানে জঙ্গি অভিযানের কারণে পর্যটন নিষিদ্ধ করা হয়েছে’- এ বিষয়ে র্যাবের কাছে কী তথ্য আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি অভিযান হয়েছে। কথিত হিজরতের নামে যারা বাসা থেকে বের হয়েছেন, তাদেরকে যারা বের করেছেন এবং যারা ভোলা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, তাদের ১২ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি বলেন, মূলত গ্রেপ্তার হওয়াদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তারা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রায় ৫৫ জনের মতো অবস্থান করছেন, যাদের মধ্যে ৩৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে তারা অবস্থান করছেন এবং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এ তথ্য র্যাব বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে শেয়ার করেছে। গত ১০ অক্টোবর থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, এলাকাটি বেশ দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটকেরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ঘোরাফেরা করেন। যেহেতু অভিযান চলমান, এ কারণে হয়তো জেলা প্রশাসন ও লোকাল প্রশাসন পর্যটকদের সাময়িক সময়ের জন্য যাতায়াত বন্ধ করেছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে আরও তথ্য জানাতে পারব।