সপ্তাহের প্রথম তৃতীয় কার্যদিবস টানা দরপতনের পর চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। তবে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৪২ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৪ মিনিটে ডিএসইতে ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির। আর ১৯২টির দাম অপরিবর্তিত।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ১২টির এবং অপরিবর্তিত ৪৭টির।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। এতে তিন কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ৯৪ পয়েন্ট পড়ে যায়।