প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে অপ্রত্যাশিত হারই নয় শুধু, বড় ব্যবধানে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ৫৫ রানের ওই হার লঙ্কানদের রানরেট কমিয়ে দিয়েছে অনেকখানি। যার ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষ ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেলেও সেই রানরেট আর খুব একটা বাড়ানো যায়নি।
কারণ, ঋনাত্মক রানরেট আগে পূরণ করেই না তবে ধনাত্মক রান রেটে আসবে। দুই দিকের ভারসাম্য আনতে গিয়ে এখনও পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরেই অবস্থান করছে লঙ্কানরা।
সুপার টুয়েলভে যেতে হলে আজ শুধু নেদারল্যান্ডসকে হারালেই চলবে না, বড় ব্যবধানে হারিয়ে রানরেটটাকেও মোটাতাজা করতে হবে। না হলে কঠিন বিপদ। বিদায়ও নিতে হতে পারে তাদেরকে।
প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে আজ দিনের প্রথম খেলায় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটা শুরু হবে সকাল ১০টায়।
লঙ্কানদের জন্য স্বস্তির হবে, যদি কোনোমতে আরব আমিরাতের কাছে হেরে যায় নামিবিয়া। তাহলে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা যে ব্যবধানেই জিতুক না কেন, রান রেটের দিকে তাকাতে হবে না, চলে যাবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।
জিলংয়ের কার্দিনিয়া পার্কে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই যে নির্মম সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার রেশ থেকে যাবে এই গ্রুপের একেবারে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নেদারল্যান্ডসই ‘এ’ গ্রুপের টেবিল টপার। প্রথম দুই ম্যাচে কেবল তারাই জয় পেয়েছে। বাকি দুই গ্রুপ মিলে আর কারও সাফল্য এখন শতভাগ নয়। কিন্তু ডাচরা টানা দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের অবস্থান নিশ্চিত নয়। রান রেটের ব্যবধান কী দাঁড়ায়, তার ওপর নির্ভর করছে তাদের ভাগ্য।
তবে, সাডেন ডেথ পরিস্থিতিতে এসে এমন একটা অবস্থার মুখোমুখি হওয়া নতুন নয় নেদারল্যান্ডসের জন্য। বাছাই পর্বেও এই পরিস্থিতিতে পড়ে তাদেরকে উঠে আসতে হয়েছে। যে কারণে, দলটির কোচ রায়ান কুক বলেন, ‘আমি মনে করি, সবাই জানে বিশ্বকাপে এ ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। শুধু এই পয়েন্টে আসলে দেখবেন, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েছি আমরা। সুতরাং, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।’
এশিয়া কাপজয়ী শ্রীলঙ্কাও জানে সাডেন ডেথ পরিস্থিতিতে কী করতে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। অধিনায়ক দাসুন শাকানা বলেন, ‘বিশ্বকাপে আসার আগে সবাই আমাদের কাছে কী প্রত্যাশা করেছিল, সেটা জানি। পরিচিত দেশগুলোর বিপক্ষে খেললে জানা কিংবা বোঝা সম্ভব কেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখোমুখি হচ্ছি। কিন্তু এখানে এমন কিছু দেশের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে, যারা একটু ভিন্ন। আমরা জানি না, আসলে কী অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।’
সুতরাং, শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে টিকে থাকবে কী থাকবে না, তা জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই। আপাতত সে পর্যন্ত অপেক্ষা।