নানা নাটকীয়তা শেষে মাত্র ৪৫ দিন দায়িত্ব পালন করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লিজ ট্রাস। আজ বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাঁর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনজন পদত্যাগ করেন। এরপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রাসকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করেন। নিয়ম অনুযায়ী, দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু দেড় মাস না যেতেই তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে গেল।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিজ ট্রাস। এরপর তিনি জানান, ‘আগামী সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির জরুরি নির্বাচনের মাধ্যমে দলটির পরবর্তী নেতা ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন।’ প্রশ্ন হলো- কে হবেন নতুন নেতা? খবর বিবিসির।
এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ক্রিস্পিন ব্লান্ট, বর্তমান অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে নেতা ও প্রধানমন্ত্রী করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাছাড়া ঋষি সুনাকের নামও শোনা যাচ্ছে। এমনকি বলা হচ্ছে, বরিস জনসনকেও ফেরানো হতে পারে। তাছাড়া, গতকাল বুধবার পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলাও নেতৃত্ব পাওয়ার তালিকায় আছেন।
আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থার সূত্রে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজ ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরেক কনজার্ভেটিভ প্রার্থী ঋষি সুনাক। তবে শেষ পর্যায়ের লড়াইয়ে দলীয় সদস্যদের থেকে অধিক সমর্থন পেয়ে অনেকখানি এগিয়ে যান লিজ। পিছিয়ে পড়েন ঋষি। ট্রাসের পদত্যাগের ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে- তবে কি নতুন করে আবার সুযোগ পেতে পারেন ঋষি?