আওয়ামী লীগ হলো বটবৃক্ষ। ধাক্কা দিয়ে, ঝাঁকি দিয়ে ফেলা যাবে আওয়ামী লীগ এমন দল নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, এই স্বপ্ন যারা দেখছেন, তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দল। জাতির পিতার হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পরাস্ত করা যাবে না।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত জাতীয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গৌরব-৭১।
যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। তারা এখন ঈর্ষান্বিত হয়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে বারবার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অতীতে হরতাল, অবরোধের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কোনো ষড়যন্ত্র উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
শেখ রাসেলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতার ছোট ছেলে এটা যেমন সত্য; পুরো পৃথিবীর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।
তিনি বলেন, আজ যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন- শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড তাদের হৃদয়ে নাড়া দিতে পারেনি। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই কেন?
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এটা সবার জানা উচিত। এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে বিচ্যুত হতে দেওয়া যাবে না। একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল তারা এক রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইতিহাস বিকৃত করছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এসব ইতিহাস প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন। কারণ তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস না জানলে বিপথগামী হতে পারে।
এসময় তিনি শিশুদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরব-৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন।