কট্টর ডানপন্থি নেতা জর্জিয়া মেলোনিকে সরকার গঠনে আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানিয়েছেন ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন নেতা বেনিতো মুসোলিনির পর মেলোনিই হতে যাচ্ছেন ইতালির প্রথম কট্টর ডানপন্থি ও প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, শুক্রবার (২১ অক্টোবর) জর্জিয়া মেলোনি তার মিত্র দলের নেতোদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট মাতারেলার সঙ্গে দেখা করেন এবং বলেন, তারা দ্রুততম সময় সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।
গত মাসে ইতালির নির্বাচনে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভোট পায় মেলোনির দল ব্রাদার্স অব ইতালি। তবে এটি এককভাবে সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে তারা জোট বেঁধেছে মাত্তিও সালভিনির উগ্র ডানপন্থি লীগ দল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির মধ্য-ডানপন্থি ফর্জা ইতালিয়ার সঙ্গে।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শুক্রবারের বৈঠকে বার্লুসকোনি এবং সালভিনিও উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য সম্প্রতি বার্লুসকোনির কিছু মন্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ পাওয়ার পর জোটের ঐক্যে ধাক্কা লেগেছিল। মেলোনি অবশ্য ইতালির পশ্চিমা মিত্রদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন, ইউক্রেন প্রশ্নে তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি টেপে সিলভিও বার্লুসকোনিকে বলতে শোনা যায়, তার জন্মদিনে ২৯ বোতল ভদকা পাঠিয়েছিলেন পুতিন। আরেকটি টেপে শোনা যায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জন্য ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এবং পশ্চিমা দেশগুলোকেই দায়ী করছেন তিনি।
লীগ দলের নেতা মাত্তিও সালভিনিকেও ভ্লাদিমির পুতিনের অনুরাগী হিসেবে দেখা হয়। এসব কারণে জর্জিয়া মেলোনির ওপর খানিকটা চাপ তৈরি হয়। ধাক্কা খায় তার জোটের ঐক্য। তবে ইতালির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তার এই দুই দলের সমর্থন অবশ্যই প্রয়োজন।
এ সপ্তাহ শেষেই জর্জিয়া মেলোনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থি হিসেবে দেখা হলেও তার দল ব্রাদার্স অব ইতালির জন্মের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী নব্য ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের যোগসূত্র রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা