দেশ যখন উন্নয়নের ধারায় ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে সবুজবাগ থানা ও ৪, ৫, ৭৩, ৭৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে স্থিতিশীল রাষ্ট্র এবং উন্নয়নের রোল মডেল। দেশে যখন সহিংসতা নেই, মানুষ নিরাপদে কর্মস্থলে যেতে পারছে, নিশ্চিন্তে ঘরে বাস করছে। ঠিক সেসময় আজকে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে চক্রান্ত করছে। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। কারণ তারা নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য হলো সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আমরা বলেছি, এসব দিবাস্বপ্ন বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ ভোট দিলে আপনারাই ক্ষমতায় আসবেন। আর জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই।
‘বিএনপির সামবেশ দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পায়’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ভয় পাওয়ার দল নয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে পাকিস্তানি সেনাদের পরাজিত করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামী লীগ নয় বরং দেশের জনগণ বিএনিপির সমাবেশকে ভয় পায়। কারণ জনগণ সমাবেশের নাম করে বিএনপির কর্মকাণ্ড দেখেছে। বিএনপি সমাবেশের নাম করে সাড়ে ৩০০ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাদের দেয়া আগুনে দগ্ধ হওয়া ২৫০০ মানুষ এখনও অমানবিক জীবনযাপন করছেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন ২০২১ সালের আগে বাংলাদেশকে মধ্যম-আয়ের দেশে পরিণত করবেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করবেন। আজকে বাংলাদেশে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা যা বলেছেন তাই বাস্তবায়ন করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চান। আর এজন্য আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আশফুজ্জামান ফরিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।