বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও সগীর হোসেন লিয়ন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সোমবার শুনানি শেষে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগ।
পরে সগীর হোসেন লিয়ন বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আয়কর নিয়ে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় মির্জা আব্বাসের দণ্ড হয়। আপিলের পর সেই দণ্ডের রায় বাতিল হয় ও তিনি খালাস পান। একই রকম ফ্যাক্টসে দুদক একটি মামলা করে। আমরা বলেছি একই বিষয়ে দুইবার মামলা চলতে পারে না। কিন্তু বিচারিক আদালত আবেদন খারিজের পর হাইকোর্টে আবেদন করি। এরপর হাইকোর্ট বিভাগেও আবেদন খারিজ হয়। পরে আপিল বিভাগে আবেদন করি। সেই আবেদনের ওপর শুনানিতে সব ধরনের আইনি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
খুরশীদ আলম খান বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকা তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৬ এ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।