অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, চলমান সব চ্যালেঞ্জ আমলে নিয়েই বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল, ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। যা অর্জনে আর্থ-সামাজিক ও ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগের জন্য এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকসহ তার সব উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন প্রয়োজন।
উন্নত থেকে উন্নয়নশীল সব দেশই এ মুহূর্তে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে বলেও মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল। একইসঙ্গে মানবতার স্বার্থে বিশ্ব অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বোর্ড অব গভর্নরসের বার্ষিক সভায় অর্থমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মুস্তফা কামাল বলেন, আজকের সভার মূল ইস্যু ‘সংকটপ্রবণ বিশ্বে অবকাঠামতে অর্থায়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ব সম্প্রদায়, উন্নত থেকে উন্নয়নশীল সব দেশই এ মুহূর্তে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যার বেশিরভাগই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে উদ্ভূত।
অর্থমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশকে প্রদত্ত সাম্প্রতিক বাজেট সহায়তা এবং ভ্যাকসিন সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করে এআইআইবিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দক্ষতার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করেছে। বিগত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতি আগের ধারাবাহিকতায় ফিরে আসছে।
এসময় মানবতার স্বার্থে বিশ্ব অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে সভায় উপস্থিত এবং সভার বাইরের সব বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন চীনের গভর্নর কুন লিউ, ঘানার গভর্নর কেন ওফোরি-আত্তা, ভারতের গভর্নর নির্মলা সীতারমন, পাকিস্তানের গভর্নর সরদার আয়াজ সাদিক, সিঙ্গাপুরের গভর্নর ইন্দ্রানী রাজা, উজবেকিস্তানের গভর্নর জামশিদ খোদজায়েভ প্রমুখ।