কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বন ও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ না করার অনুরোধ জানিয়ে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (ফিফা) চিঠি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তারা বিকল্প জায়গায় এ সেন্টার স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, মহাসচিব ফাতমা সামোরার ও ফিফার ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফাকে ডিএইচএল ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিসেসের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- মানবাধিকারকর্মী ও বাপা’র সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, এমলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আসকের সভাপতি জেড আই খান পান্না, ব্লাস্টের পরিচালক সারা হোসেন, স্থাপতি মোবাশ্বের হোসেন ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
এছাড়া চিঠিতে সই করেন, কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সভাপিত এইচ এম নজরুল ইসলাম, সেভ দ্য কক্সবাজারের সভাপতি আনছার হোসেন ও ইয়েস এর কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ মামুন।
চিঠিতে বলা হয়, কক্সবাজারের রামুতে সংরক্ষিত বন ও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় বাফুফেকে জমি বরাদ্দ দেওয়া সংবিধান, আইন ও আদালতে আদেশের লঙ্ঘন। এর বাস্তবায়ন হলে সেখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়বে। টেকনিক্যাল সেন্টারটি করার জন্য উপযুক্ত বিকল্প স্থান আছে। সেখানে সেন্টারটি স্থাপনের অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
গত ৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বন বিভাগ বাফুফেকে বনাঞ্চলের ডি-রিজার্ভকৃত ২০ একর জায়গা বুঝিয়ে দেয়। আবাসিক প্রশিক্ষণ একাডেমির অংশ হিসেবে এখানে দুটি ফুটবল মাঠ, একটি চারতলা ডরমিটরি ও একটি মেডিক্যাল সেন্টার নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এটি নির্মাণের পুরো তহবিল দিচ্ছে ফিফা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, একাডেমি স্থাপনে কাটা পড়বে গুরুত্বপূর্ণ এই বনের প্রায় ৩০ হাজার ছোট বড় গাছ। এ বন আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণের জোট আইইউসিএনর তালিকাভুক্ত মহাবিপদাপন্ন এশিয়ান হাতির আবাসভূমি। এছাড়া এ বনে হরিণ, বন্যশুকর, বানরসহ অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও পাখি রয়েছে।