মেয়েদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা: আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রারকে বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে নগ্ন ভিডিও ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার দায়ে বেসরকারি আশা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আশরাফুল হক চৌধুরী ওরফে তানভীর চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

গতকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেওয়া এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

universel cardiac hospital

ইউজিসির ওই আদেশের পরই আশা ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা শায়লা আফরিনের স্বাক্ষরিত এক জরুরি নোটিশে রেজিস্ট্রারকে সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এর আগে ছাত্রীদের বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে শারীরিক সম্পর্ক বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কোনো ছাত্রী তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে রেজিস্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেট আটকে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায় এবং রেজিস্ট্রারের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই রেজিস্ট্রারের এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে খোঁজ নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে ইউজিসির জনবল প্রশাসন বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ছাত্রীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করার মতো গুরুতর অভিযোগের আমরা প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চিঠি দিয়ে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেই।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট কমিটি আছে। যেটার প্রধান আমি নিজেই। আমরা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী রোববার (৩০ অক্টোবর) ঘটনা তদন্ত করে দেখব। ওইদিন আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকেও থাকতে বলেছি। আমরা তদন্ত করার পর রিপোর্ট জমা দেব। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন