বাংলাদেশের এলএনজির চালান ‘মাঝপথে ঘুরে যাচ্ছে’ ইউরোপে

মত ও পথ ডেস্ক

এলপিজি রপ্তানি
ফাইল ছবি

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে। এর ফলে স্পট মার্কেটে এলএনজির চালান কেনায় ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশ্ব পণ্যবাজার নিয়ে গতকাল বুধবার প্রকাশিত ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক’ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে বিশ্বের অন্য সব মুদ্রার রেকর্ড দরপতনের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

universel cardiac hospital

সরকারের হিসাবে বাংলাদেশের মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৬২ শতাংশই প্রাকৃতিক গ্যাস, যার মধ্যে ৮ শতাংশ চাহিদা আমদানি করা এলপিজি দিয়ে মেটানো হয়। বাকি ৩৮ শতাংশ জ্বালানি চাহিদার বেশিরভাগটা আমদানি করা তেল দিয়ে মেটানো হয়। এর বাইরে জ্বালানির উৎস হিসেবে দেশে কয়লার বড় মজুত থাকলেও তার উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কম। অন্যদিকে তরল গ্যাসের মজুত খুব বেশি না হলেও প্রাপ্ত উৎসের মধ্যে এর উৎপাদন ও ব্যবহারই বেশি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের মতো অন্যান্য বিকল্পের ব্যবহার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তবে জাপান ও কোরিয়ার মতো বড় এলএনজি আমদানিকারকেরা তাদের বেশির ভাগ এলএনজি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কিনে থাকে। এর ফলে স্পট মার্কেটে দাম বাড়লে এরা বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

শেয়ার করুন