তিনদিন সূচকের উত্থান আর দুদিন দিন সূচক পতনের মধ্য দিয়ে অক্টোবর মাসের আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে সূচক, লেনদেন এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ৪৪১ কোটি ৮৫ লাখ ৫১ হাজার ১১ টাকা।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারের চিত্রে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি কমেছে ৪৪১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে মূলধন কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে।
বিদায়ী (২৩-২৭ অক্টোবর) সপ্তাহে পুঁজিবাজারে মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ পাঁচ দিনের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম দুদিন কর্মদিবস দরপতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এরপর সপ্তাহের তিন কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে।
আলোচিত এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৮৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৯টির। লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০২ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৮০১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ টাকা। টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার। যা শতাংশের হিসেবে কমেছে ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা, সোনালী পেপার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, ইন্ট্রাকো, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ইস্টার্ন হাউজিং, এডিএন টেলিকম, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং জেএমআই হসপিটালের শেয়ার।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৭৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৩ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৬ টাকা।
লেনদেন হওয়া ৩০৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের, কমেছে ৭১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৭টির দাম।