স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষ অবদানকারী দেশ। বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা লিঙ্গ বা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও সংঘাত-সংঘর্ষ কমাতে বিশেষ করে নারী-শিশুর নিরাপত্তা প্রদানে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পুলিশ ডে-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, জাতিসংঘ পুলিশ গত ছয় দশকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। কসোভো, কঙ্গো, হাইতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাতিসংঘ পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠাকালে বাংলাদেশের ৩০ জন পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। অনেকে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার পুলিশের দক্ষতা, সক্ষমতা, পেশাদারি বাড়াতে বিশেষ করে সন্ত্রাস দমন, প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধ তদন্ত, সংঘবদ্ধ ও আন্তদেশীয় অপরাধ দমনে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের পুলিশ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত অ্যাডভাইজর কমিশনার জুন টান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইন্টিগ্রেটেড ট্রেনিং সার্ভিসের প্রধান মার্ক পেডারসেন, পুলিশ ডিভিশন ও ইন্টিগ্রেটেড ট্রেনিং সার্ভিসের প্রতিনিধিরা এবং আইএপিটিসি নির্বাহী কমিটির পুলিশ চেয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিওভানি বারবানো অংশ নেন।