দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোউইন অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতদের সংখ্যা ১৫১ জনে দাড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৯ জন বিদেশিও রয়েছেন।
দেশটির ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি রোববার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেচে। খবর এএফপি, বিবিসি।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে মারা যান তারা।
নিহতরা কোন কোন দেশের তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার এজেন্সি। তবে সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এতে ইরান, উজবেকিস্তান, চীন এবং নরওয়ের নাগরিকরা রয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল রোববার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার আহতদের চিকিৎসা সেবা এবং যারা মারা গেছেন তাদের শেষকৃত্যের জন্য অর্থ প্রদান করবে।
একটি জাতীয় ভাষণে ইউন বলেন, ‘সিউলের কেন্দ্রে, একটি ট্র্যাজেডি এবং বিপর্যয় ঘটেছে যা হওয়া উচিত ছিল না।’
বিপর্যয়টি রাজধানীর ইটাউয়ন জেলায় ঘটেছে। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে প্রায় ১ লাখ মানুষ ছিল। তাদের বেশিরভাগই কিশোর। তারা হ্যালোউইন উদযাপন করতে গিয়েছিলেন এবং এলাকার সরু গলিপথ ও ঘোরা রাস্তায় আটকে ছিল।
ইয়ংসানের দমকল বিভাগের প্রধান চোই সিওং বিওমের বরাত দিয়ে ইয়নহাপের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯৭ জন নারী এবং ৫৪ জন পুরুষ ছিলেন।
চোই বলেন, এ ঘটনায় ১৯জন গুরুতরসহ 82 জন আহত হয়েছেন, যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ১৫০ জন আহত হয়েছেন।
হান্নাম-ডং কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টার বিবিসিকে জানিয়েছে, শনিবার রাতের এ ঘটনায় প্রায় ২৯০০ জন নিখোঁজের ব্যক্তির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
যারা হ্যালোউইন ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু তারপর থেকে ফিরে আসেননি তাদের পরিবার কেন্দ্রে নিবন্ধন করছেন।
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত স্বজনরাও কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন প্রিয়জনের খবরের জন্য।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শনিবার রাতে ইটওয়ান ক্রাশে তিন চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সিউলের চীনা দূতাবাস তার শোক প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে তারা নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেবে, সিনহুয়া জানিয়েছে।